বিষয়াবলী

অনুপাত : অনুপাত আর্থিক বিবরণীর উপাদানগুলোর (সম্পত্তি, দায় ও মালিকানা সত্ত্ব) মধ্যে সম্পর্ক প্রকাশ করে।

 

অনুপাত বিশ্লেষণ কে যেসব রূপে প্রকাশ করা যেতে পারে

শতকরা রূপে। যেমন- ২৫%, ১০%

আনুপাত রূপে। যেমন- ২:৩, ৪:৫

হার/বার। যেমন- ২ বার, ৫ বার

 

শ্রেণীবিভাগ
উদ্দেশ্য অনুসারে অনুপাতকে ৪ টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।

 

তারল্য অনুপাত :

 

চলতি অনুপাত

ত্বরিত অনুপাত

কার্যকরি মূলধন অনুপাত

উপার্জন ক্ষমতা অনুপাত :

মোট লাভ অনুপাত

নীট লাভ অনুপাত

শেয়ার প্রতি আয় (Earning per Share-EPS)

মূলধন কাঠামো অনুপাত

দায়-মালিকানা অনুপাত

দায়-মোট সম্পত্তি অনুপাত

 

ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সম্পর্কিত অনুপাত

মজুদ আবর্তন অনুপাত

দেনাদার আবর্তন আনুপাত

 

অনুপাত নির্ণয়

 

অনুপাত নির্ণয়

 

চলতি সম্পত্তি : যে সব সম্পত্তিকে এক হিসাবকালের মধ্যে নগদ টাকায় রূপান্তর করা যায়, তাদের চলতি সম্পত্তি বলে। যেমন- নগদ, ব্যাংকে জমা, স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ, প্রাপ্য হিসাবসমূহ, বিবিধ দেনাদার, প্রাপ্য নোট, অগ্রপ্রদত্ত ব্যয়, মজুদ পণ্য।

 

চলতি দায় : যে সব দায়কে এক হিসাবকালের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়, তাদেরকে চলতি দায় বলে। যেমন- প্রদেয় হিসাবসমূহ, স্বল্পমেয়াদী ঋণ, অনুপার্জিত আয়, প্রদেয় লভ্যাংশ, প্রদেয় নোট, দীর্ঘমেয়াদী ঋণের চলতি অংশ।

 

ত্বরিত অনুপাত

 

ত্বরিত সম্পত্তি : যে সব চলতি সম্পত্তিকে স্বল্প সময়ের মধ্যে শূণ্য ঝুঁকিতে প্রায় সমপরিমাণ নগদ টাকায় রূপান্তর করা যায়, তাদেরকে ত্বরিত সম্পত্তি বলে। যেমন- নগদ টাকা, ব্যাংকে জমা, দেনাদার।

 

 

ত্বরিত সম্পত্তি = চলতি সম্পত্তি – মজুদ পণ্য

 

 

কার্যকরি মূলধন

কার্যকরি মূলধন :

 

 

কার্যকরি মূলধন = চলতি সম্পত্তি - চলতি দায়

 

 

কার্যকরি মূলধন

কার্যকরি মূলধন

 

 

কর পরবর্তী নীট লাভ = নীট লাভ – কর

 

 

দায় মালিকানা অনুপাত

মালিকানা স্বত্ত্ব : ব্যবসায়ের মোট সম্পত্তির উপরে মালিকের দাবীকে মালিকানা স্বত্ত্ব বা মূলধন বলে।

 

 

মালিকানা স্বত্ত্ব = সাধারণ শেয়ার + অগ্রাধিকার শেয়ার + জমাকৃত মুনাফা + মূলধন সঞ্চিতি + সাধারণ সঞ্চিতি + অন্যান্য সঞ্চিতি ও তহবিল

 

 

দায় মজুদ অনুপাত

 

 

বিক্রিত পণ্যের ব্যয় = নীট বিক্রয় – মোট

 

 

দেনাদার আর্বতন অনুপাত

 

 

নীট ধারে বিক্রয় = নীট বিক্রয় – নগদ

 

 

 

গড় প্রাপ্য হিসাব = (প্রারম্ভিক দেনাদার + সমাপনী দেনাদার) / ২

 

 

কোন অনুপাত কি বোঝায়?

 

চলতি অনুপাত : প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদী দায় পরিশোধের ক্ষমতা নির্দেশ করে।

 

ত্বরিত অনুপাত : প্রতিষ্ঠানের তাৎক্ষণিক দায় পরিশোধের দায় পরিশোধ ক্ষমতা নির্দেশ করে।

 

কার্যকরি মূলধন অনুপাত :

 

মোট লাভ অনুপাত : প্রতি টাকা বিক্রয়ের বিপরীতে মোট লাভের পরিমাণ নির্দেশ করে।

 

নীট লাভ অনুপাত : প্রতি টাকা বিক্রয়ের বিপরীতে নীট লাভের পরিমাণ নির্দেশ করে।

 

শেয়ার প্রতি আয় : প্রতি শেয়ারের বিপরীতে নীট আয়ের পরিমাণ নির্দেশ করে।

 

দায়-মালিকানা অনুপাত : বহিঃস্থ ও অভ্যন্তরীণ দাবীর পরিমাণ নির্দেশ করে।

 

দায়-মোট সম্পত্তি অনুপাত : প্রতি টাকা সম্পত্তির বিপরীতে দায় নির্দেশ করে।

 

মজুদ আবর্তন অনুপাত : মজুদ গড়ে কত দিন পরপর বিক্রয় হয় তা নির্দেশ করে।

 

দেনাদার আবর্তন আনুপাত : একটি হিসাবকালে দেনাদারের থেকে অর্থ প্রাপ্তির গড় সময় নির্দেশ করে।