রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
 
প্রথম প্রকাশ- মাসিক পত্র ‘সবুজপত্র’ (১৩২১ বঙ্গাব্দ, ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ)
[সবুজপত্র সম্পাদনা করতেন প্রমথ চৌধুরী]
গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশ- ‘গল্প সপ্তক’ (১৯১৬)
পরবর্তীতে গল্পগুচ্ছ; তৃতীয় খণ্ড (১৯২৬)
 
চরিত্রসমূহ :
প্রধান চরিত্র- হৈমন্তী (শিশির)
গৌরীশংকর- হৈমন্তীর বাবা (অপুর শ্বশুড়) (পশ্চিমের এক পাহাড়ের কোনো এক রাজার অধীনে চাকরি; শিক্ষাবিভাগের অধ্যক্ষ)
অপু- হৈমন্তীর বর/জামাই (বর্ণনাকারী চরিত্র)
বনমালী- গৌরীশংকরের বন্ধু, হৈমন্তী ও অপুর বিয়ের ঘটক
নারানী- অপুর ছোট বোন; হৈমন্তীর প্রকৃত ভক্ত
অপুর বাবা, মা
 
হৈমন্তীর আরেক নাম- শিশির
বিবাহের সময় হৈমন্তীর বয়স- সতেরো
হৈমন্তীর ছবি- যেমন তেমন একখানি চৌকিতে বসিয়া, পিছনে একখানা ডোরা দাগ-কাটা শতরঞ্জ ঝোলানো, পাশে একটা টিপাইয়ের উপরে ফুলদানিতে ফুলের তোড়া। আর, গালিচার উপরে শাড়ির বাঁকা পাড়টির নিচে দুখানি খালি পা।
বিবাহের সময় অপুর বয়স- উনিশ (কলেজের তৃতীয় বৎসরে)
অপু এফ.এ. পাশ, বি.এ. পরীক্ষা দিচ্ছে
 
কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না।- হৈমন্তী গল্পের ১ম বাক্য
জৈষ্ঠ্যের খররোদ্রই তো জৈষ্ঠ্যের অশ্রুশূণ্য রোদন।
যে তাম্রশাসনে তাহার নাম খোদাই করা আছে সেটা আমর হৃদয়পট।
আমার কাজ আমি করিয়াছি, এফ এ পাশ করিয়া বৃত্তি পাইয়াছি
বিবাহ সম্পর্কে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিল।– অপুর মত
বড়ো বয়সের মেয়ের সঙ্গে বাবা যে আমার বিবাহ দিলেন তাহার কারণ পণের অঙ্কটাও বড়ো ছিল।
যে ধন দিলাম তাহার মূল যেন বুঝিতে পার, ইহার বেশি আশীর্বাদ আর নাই।– গৌরীশঙ্কর, অপুকে বলেন
যে হিমালয়ে বাস করিতেন, সেই হিমালয়েল তিনি যেন মিতা।– গৌরীশঙ্কর সম্পর্কে
মানুষ পণ করে পণ ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া হাঁফ ছাড়িবার জন্য। কথা না দেয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।- গৌরীশঙ্কর
‘আমি পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম।’- অপু; হৈমন্তীকে পাইল
‘আমি যাহা বুঝিনা তাহা শিখাইতে গেলে কপটতা শেখানো হইবে।’- গৌরীশঙ্কর; হৈমন্তীকে ধর্মকর্ম না শেখানোর কারণ
‘অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মতো এমন বিড়ম্বনা আর নাই।’- গৌরীশঙ্কর
সে আমার সম্পত্তি নয়, সে আমার সম্পদ।– সম্পদ= হৈমন্তী
আজ হঠাৎ আমার অত্যন্ত নিকটে অতি বৃহৎ একটা নৈরাজ্যের গহবর দেখিতে পাইলাম।- অপু
‘দক্ষিণার জোরে সকল পণ্ডিতের কাছেই সব বিধান মেলে’- অপুর বাবা
ফের যদি আসি তবে সিঁধকাঠি সঙ্গে করিয়াই আসিব।’- গৌরীশঙ্কর
ঠিক যেন শৈলচূড়ার বরফের উপর সকালের আলো ঠিকরিয়া পড়িয়াছে, কিন্তু বরফ এখনো গলিল না।’- হৈমন্তী সম্পর্কে অপু
অপুর মা হৈমন্তীর বয়স বলেছিল- ‘সবে এগারো বই তো নয়, এই আসছে ফাল্গুনে বারোয় পা দিবে।’
আমি জানি কী অকলঙ্ক শুভ্র সে, কী নিবিড় পবিত্র।– হৈমন্তী সম্পর্কে অপু
‘হৈমকে আমি লইয়া যাইব।’- অপু
যে দিন অযোধ্যার লোকে সীতাকে বিসর্জন দিবার দাবী করিয়াছিল তাহার মধ্যে আমিও যে ছিলাম।
যদি লোকধর্মের কাছে সত্যধর্মকে না ঠেলিব, যদি ঘরের কাছে ঘরের মানুষকে বলি দিতে না পারিব, তবে আমার রক্তের মধ্যে বহু যুগের যে শিক্ষা তাহা কী করিতে আছে।
বুকের রক্ত দিয়া আমাকে যে একদিন দ্বিতীয় সীতা বিসর্জনের কাহিনী লিখতে হইবে সে কথা কে জানিত।
 
শব্দার্থ ও টীকা
টিপাই- তেপায়া, তিন পায়ার টেবিল
প্রজাপতি- ব্রহ্মা। হিন্দু পুরাণ অনুসারে বিয়ের দেবতা
বার্ক- এডমন্ড বার্ক। ইংরেজ রাজনীতিক, প্রাবন্ধিক ও বক্তা
মুগ্ধবোধ ব্যাকরণ- মুগ্ধবোধমং ব্যাকরণম্- বোপদেব গোস্বামী
ফ্রেঞ্চ রেভোল্যুশন- Reflections on the Revolution in France (এডমন্ড বার্ক)
প্রস্রবণ- ঝর্ণা
খোট্টা- নিন্দার্থে হিন্দিভাষী লোকজন
মার্টিনো- ইংরেজ লেখক
 
ভাষাভিত্তিক/ব্যাকরণ অংশ
লিঙ্ক- বাক্য রূপান্তর (অস্তি ও নেতিবাচক বাক্য) (অস্তি থেকে নেতি ও নেতি থেকে অস্তিবাচক),
 
 
 
লেখক পরিচিতি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জন্ম- ৭ মে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের (২৫ বৈশাখ ১২৬৮)
মৃত্যু- ৭ আগস্ট ১৯৪১ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮)
নোবেল প্রাপ্তি- ১৯১৩ সালে (দক্ষিণ এশীয়, এশীয়দের মধ্যে প্রথম নোবেল পান। ইউরোপের বাইরে প্রথম সাহিত্যে নোবেল পান।)
নোবেল পান- ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য (ইংরেজি অনুবাদ, তিনি নিজেই করেন)
শান্তি নিকেতন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন
গ্রন্থ-
কবিতা- সোনার তরী, চিত্রা, বলাকা, মানসী, কল্পনা
উপন্যাস- নৌকাডুবি, গোরা, ঘরে বাইরে, চার অধ্যায়, শেষের কবিতা
নাটক- রক্তকরবী, রাজা, চিত্রাঙ্গদা, ডাকঘর, চিরকুমার সভা, বিসর্জন
প্রবন্ধ- বিচিত্র প্রবন্ধ, কালামত্মর, পঞ্চভূত, সভ্যতার সংকট
অন্যান্য- বাংলা ভাষা পরিচয়, লোক সাহিত্য
 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন

  • দেশে-বিদেশে
  • রুদ্র-মঙ্গল
  • কালান্তর
  • নিচের কোন গ্রন্থ উপন্যাস- (ঘ-২০১০-১১)
  • ‘হৈম কিছু না বলিয়া একটু হাসিল।’- বাক্যটির নেতিবাচক রূপ (ঘ-২০১০-১১)
  • ‘গালিচার উপরে শাড়ির বাঁকা পাড়টির নিচে দুখানি খালি পা।’- পা দুখানি কার? (ক-২০০৬-০৭)
  • রবীন্দ্রনাথের লেখা গ্রন্থ কোনটি? (ক-২০০৬-০৭)
  • ‘মানুষ পণ করে পণ ভাঙ্গিয়া হাঁফ ছাড়িবার জন্য। অতএব কথা না দেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।’- এই উক্তিটি কোন লেখায় আছে? (ঘ-২০০১-০২)
  • ‘বড়ো বয়সের মেয়ের সঙ্গে বাবা যে আমার বিবাহ দিলেন’ তাহার কারণ- (ঘ-২০০১-০২)
  • ‘বুকের রক্ত দিয়া আমাকে যে একদিন দ্বিতীয় সীতা বিসর্জনের কাহিনী লিখতে হইবে সে কথা কে জানিত।’- এ বাক্যটি কোন লেখায় আছে? (ঘ-২০০২-০৩)
  • ‘কথা না দেয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।’- হৈমন্তী গল্পের উক্তিটি কার? (ঘ-২০০০-০১)
  • ‘মানুষ পণ করে পণ ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া হাঁফ ছাড়িবার জন্য’- হৈমন্তী গল্পে এই উক্তি কার? (ঘ-১৯৯৯-৯৮)
  • ‘হৈমন্তী’র ডাকনাম (ঘ-২০০৩-০৪)
  • হৈমন্তীর ছবিতে পেছনে ঝোলানো ছিল (ঘ-২০০৫-০৬)
  • ‘টিপাই’ অর্থ- (ঘ-২০০৯-১০)
  • ‘হৈমকে আমি লইয়া যাইব’- কে বলেছিল? (ক-২০০৫-০৬)
  • ‘আমার কাজ আমি করিয়াছি, এফ এ পাশ করিয়া বৃত্তি পাইয়াছি’- হৈমন্তী গল্পের এ বাক্যে ‘এফ-এ’ বলতে কী বোঝায়? (ক-২০০৫-০৬)
  • বিয়ের সময় হৈমন্তী ও তার স্বামীর বয়স ছিল যথাক্রমে (ক-২০০৬-০৭)
  • ‘বিবাহ সম্পর্কে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিল।’- এটি কোন ধরনের বাক্য? (ক-২০০৯-১০)
  • ‘যেমন কর্ম তেমন ফল’- রেখাঙ্কিত শব্দটি কী? (ক-২০০৯-১০)
  • ‘আজ হঠাৎ আমার অত্যন্ত নিকটে অতি বৃহৎ একটা নৈরাজ্যের গহবর দেখিতে পাইলাম।’- কোন রচনার অমত্মর্গত? (ক-২০০৯-১০)
  • ‘হৈমন্তী’ গল্পে উলিলখিত ‘মার্টিনো’ কে? (ক-২০০৮-০৯)
  • শেষের কবিতা
  • ‘যে হিমালয়ে বাস করিতেন, সেই হিমালয়ের তিনি যেন মিতা।’ বাক্যটি- জটিল (ঘ-২০১০-১১)
  • ‘ওঁচা’ শব্দটি আছে কোন রচনায়- (ঘ-২০১০-১১)
  • ‘আমি যাহা বুঝি না, তাহা শিখাইতে গেলে কেবল কপটতা শেখানো হইবে’- এ উক্তিটি করেছেন: (গ-২০১০-১১)
  • ‘ফের যদি আসি, তবে সিঁধকাটি সঙ্গে করিয়াই আসিব’- এটি কার উক্তি? (গ-২০০৯-১০)
  • কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কোন নাটকটি কবি নজরুলকে উৎসর্গ করেছিলেন? (গ-২০০৬-০৭)
  • বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্য ‘বনফুল’ যখন প্রকাশিত হয়, তখন তাঁর বয়স: (গ-২০০৬-০৭)
  • ২০০৬ সনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কততম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়? (গ-২০০৬-০৭)
  • ‘জ্যৈষ্ঠের খররৌদ্রই তো জ্যৈষ্ঠের অশ্রুশূণ্য রোদ’- উক্তিটি: (গ-২০০৫-০৬)
  • ‘শেষের কবিতা’ একটি: (গ-২০০৪-০৫)
  • ‘যে ধন দিলাম তাহার মূল্য যেন বুঝিতে পার, ইহার বেশী আশীর্ব্বাদ আর নাই।’- উক্তিটি (গ-২০০৩-০৪)
  • ‘আমি যাহা বুঝি না, তাহা শেখাইতে গেলে কেবল কপটতা শেখানো হইবে।’- উক্তিটি কার? (গ-২০০২-০৩)
  • ‘ইহারা অন্য জাতের মানুষ।’ কারা? (গ-২০০২-০১)