ব্যবসায় অর্থসংস্থান

  • ব্যবসায়ে পুঁজি সংস্থানকে বলা হয়- অর্থসংস্থান
  • ব্যবসায়ে সাধারণত- ৩ ধরনের অর্থসংস্থান করা হয়। যথা :

১. স্বল্পমেয়াদী অর্থসংস্থান (১ বছর বা তারচেয়ে কম সময়ের জন্য)
২. মধ্যমেয়াদী অর্থসংস্থান (১ বছর হতে ৫ বছর সময়ের জন্য)
৩. দীর্ঘমেয়াদী অর্থসংস্থান (৫ বছর হতে অধিক সময়ের জন্য)

  • ব্যবসায়ে দীর্ঘমেয়াদী অর্থসংস্থানের উৎসসমূহ হল

 

 

অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎস

 

প্রাতিষ্ঠানিক উৎস

নিজস্ব তহবিল

শেয়ার

ঋণপত্র

সংরক্ষিত তহবিল

অবচয় তহবিল

শিল্প ব্যাংক

শিল্প ঋণ সংস্থা

বিনিয়োগ সংস্থা

বীমা প্রতিষ্ঠান

অবলেখন

ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি

শেয়ার বাজার

বন্ধকী ঋণ

গোষ্ঠী উন্নয়ন সংস্থা

আঞ্চলিক ব্যাংক

আমত্মর্জাতিক ব্যাংক ও সংস্থা

 

• ব্যবসায়ের স্বল্পমেয়াদী অর্থসংস্থানের উৎস হল :

 

 

অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎস

 

প্রাতিষ্ঠানিক উৎস

নিজস্ব মূলধন

আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধব

স্থানীয় ঋণদাতা

ব্যবসায় ঋণ

গ্রাহক অগ্রিম

এজেন্ট বিনিময়

সম্পদ ও সম্পত্তি

বাণিজ্যিক ব্যাংক

সমবায় ব্যাংক

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ব্যাংক

যুব উন্নয়ন সংস্থা

গ্রামীণ ব্যাংক

ভূমি বন্ধকী ব্যাংক

এনজিও

ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি

 

 

শেয়ার বাজার

 

  • ব্যবসায়ের পুঁজির অন্যতম প্রধান উৎস- শেয়ার বাজার
  • শেয়ার বাজারকে বলা হয়- Mirror of National Economy (জাতীয় অর্থনীতির দর্পণ)
  • একটি দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিসত্মার করে- শেয়ার বাজার
  • পৃথিবীর সকল দেশেই সহজ, লাভজনক ও কম ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ ক্ষেত্র- শেয়ার বাজার
  • শেয়ার বাজারে- শুধু পাবলিক লিঃ কোম্পানির শেয়ার, ঋণপত্র ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় করা হয়
  • বিশ্বে প্রথম শেয়ার বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়- লন্ডনের Sweeting Alley -তে ১৭৭৩ সালে
  • ডলারের হিসাবে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শেয়ার বাজার- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের New York Stock Exchange (NYSE) যা Wall Street শেয়ার বাজার নামে পরিচিত
  • নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ-এর ডাক নাম- বিগ বোর্ড
  • যুক্তরাষ্ট্রের ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার কেনাবেচার বৃহত্তম বাজার হল- ন্যাসডাক (NASDAQ)  

 

শেয়ার বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ের পদ্ধতি/ নিয়মাবলী

 

  • শেয়ার বাজারে ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে- ৪টি পদ্ধতিতে

১. কলওভার পদ্ধতি
২. ট্রেডিং পোস্ট পদ্ধতি
৩. জবিং পদ্ধতি
৪. অটোমেশন পদ্ধতি

 

  • নির্দিষ্ট সিকিউরিটি ক্রয়ে ও বিক্রয়ে ইচ্ছুক সদস্যগণ দর কষাকষির মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করে থাকেন- কলওভার পদ্ধতিকে
  • ফ্লোরকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে লেনদেন সম্পন্ন হয়- ট্রেডিং পোস্ট পদ্ধতিতে
  • ব্রোকার (Broker) ও জবারদের (Jobber)  মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন হয়- জবিং পদ্ধতিতে
  • স্টক মার্কেটে বিশেষ সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করে- জবার
  • সিকিউরিটি ক্রয়-বিক্রয় করে কমিশন পায়- ব্রোকার
  • ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এ শেয়ার লেনদেন করা হয়- অটোমেশন পদ্ধতিতে
  • শেয়ার বাজারে শেয়ার ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয় করার পদ্ধতিকে বলা হয়- CDS (Central Depository System)

 

শেয়ার বাজারের প্রকারভেদ

  • শেয়ার বাজার- ২ ভাগে বিভক্ত। যথা :
  • প্রাথমিক শেয়ার বাজার (Primary Market- IPO)
  • মাধ্যমিক শেয়ার বাজার (Secondary Market- Stock Exchange)
  • যে বাজারের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে কোনো কোম্পানির শেয়ারসমূহ বিনিয়োগকারীদের নিকট বিক্রয় করা হয় তাকে বলা হয়- প্রাথমিক শেয়ার বাজার (Primary Market)
  • যে বাজারের মাধ্যমে কোম্পানির পূর্বে ইস্যুকৃত শেয়ার বা সিকিউরিটিগুলো ক্রয়-বিক্র করা হয় তাকে বলা হয়- মাধ্যমিক শেয়ার বাজার (Secondary Market)
  • (Primary Market)- নুতন Security ক্রয়-বিক্রয়ের মার্কেট
  • (Secondary Market)- পুরাতন Security ক্রয়-বিক্রয়ের মার্কেট
  • প্রাথমিক বাজারে ২ ধরনের শেয়ার ইস্যু করতে দেখা যায়। যথা :
  • IPO- Initial Public Offering
  • Seasoned New Issue 
  • কোনো কোম্পানি শেয়ারসমূহ বিনিয়োগকারীদের নিকট বিক্রয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়- অবলেখক বা Underwriter

 

 

বাংলাদেশের শেয়ার বাজার

বাংলাদেশে শেয়ার বাজার ২টি। যথা :

 

ঢাকা DSE (Dhaka Stock Exchange)

  • প্রতিষ্ঠিত : ১৯৫৪ সালে (East Pakistan Stock Exchange Ltd নামে)
  • কার্যক্রম শুরম্ন : ১৯৫৬
  • ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল : ১২ সদস্যবিশিষ্ট
  • বর্তমান প্রেসিডেন্ট :
  • ভাইস প্রেসিডেন্ট :

 

চট্টগ্রাম CSE (Chittagong Stock Exchange)

  • প্রতিষ্ঠিত : ১৯৯৫
  • কার্যক্রম শুরম্ন : ১৯৯৫
  • ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল : ২৪ সদস্যবিশিষ্ট
  • বর্তমান চেয়রম্যান :

 

সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন

 

  • SEC (Securities & Exchange Commission)

প্রতিষ্ঠিত : ১৯৯৩
কার্যক্রম শুরম্ন : ১৯৯৩
বর্তমান চেয়ারম্যান :

  • শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রয় করতে চাইলে- SEC এর অনুমোদন বাধ্যতামূলক
  • নতুন কোম্পানিকে বাজারে শেয়ার ছাড়তে হলে- SEC এর অনুমোদন নিতে হয়
  • বাংলাদেশে প্রচলিত Securities & Exchange Commission আইন- ১৯৯৩ সালের
  • বাংলাদেশে Securities & Exchange Commission গঠিত হয়- ১৯৯৩ সালে( SEC  আইনের আওতায়)
  • বাংলাদেশে প্রচলিত Securities & Exchange Commission অধ্যাদেশ- ১৯৬৯ সালে
  • পূর্বে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করত- কন্ট্রোলার অব দি ক্যাপিটাল ইস্যু
  • কন্ট্রোলার অব দি ক্যাপিটাল ইস্যু গঠিত হয়- ১৯৪৭ সালে
  • বেসরকারি কোম্পানিসমূহ পুঁজি বাজারে অমত্মর্ভূক্ত করার জন্য পুঁজি বাজার উন্নয়ন কমিটি গঠন করেছে- DSE

 

সরাসরি তালিকাভুক্তির শর্তসমূহ :

 

  • কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন হতে হবে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা
  • কোম্পানি কমপক্ষে ৫ বছর ব্যবসায়ের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
  • কোম্পানি কমপক্ষে ৩ বছর মুনাফা করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
  • কোম্পানিকে ন্যূনতম ‘BBB’ Rating প্রাপ্ত হতে হবে।
  • কোম্পানির পুঞ্জীভূত ক্ষতি গ্রহণযোগ্য নয়
  • কোম্পানিকে ১০ হাজার টাকা ফি প্রদান করতে হবে
  • তালিকাভুক্তির ৩০ দিনের মধ্যে ১০% শেয়ার বিক্রি করতে হবে
  • ১ম বছরে সর্বোচ্চ ৫০% শেয়ার বিক্রি করা যাবে

 

শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্যাটাগরিসমূহ :


ক্যাটাগরি

বৈশিষ্ট্য

A

লভ্যাংশ ১০ ভাগের উপর এবং নিয়মিত

B

লভ্যাংশ ১০ ভাগের নিচে কিন্তু নিয়মিত

G

(শেয়ার ছাড়ার আগে যে কোম্পানিগুলো বাজারে আসে)

Z

অনিয়মিত, লভ্যাংশ প্রদান না করা, পুঞ্জীভূত লোকসান পরিশোধিক মূলধনকে ছাড়িয়ে যায়, উৎপাদনে ব্যর্থ

N

শেয়ার বাজারে আসার পর প্রথম ১ বছর কোম্পানিগুলো যে শ্রেণীতে থাকে

 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্টক এক্সচেঞ্জসমূহ :


দেশের নাম

স্টক এক্সচেঞ্জের নাম

USA

NYSE, Federal Reserve Board, NASDAQ

UK

FSV, London Stock Exchange- Mirror

Europe (Regional)

EASDAQ- Mirror, Eurex (Euro Exchange)

France

Bourse de Paris

Pakistan

Islamabad Stock Exchange (Gurantee)

India

Interconnected Stock Exchange of India

Brazil

B M & F Borespa

Canada

Toronto Stock Exchange

Germany

Borso Frankfurt